আমার বাবার নাম আলহাজ্ব নজির আহমেদ
আমাদের পরিবারের একমাত্র আইকন,আমার পথ চলার আর্দশ, যার চলার পথে আমাদের প্রিয় মহা নবী ( সঃ) এর অনুসরণ দেখা যায়।যিনি আমাদের পরিবারে শুধুমাত্র ইনকাম করেন। চালিকা শক্তি।
আমরা ভাই বোন আট জন, পাঁচ ভাই – তিন বোন। তিনি আমাদের সাত জনকে লেখা পড়া করিয়েছেন। বর্তমানে চার জনকে স্নাতক সম্মান পর্যন্ত পাশ করিয়েছেন বাবার খরচে।
আরো তিন জন কলেজ, মাদ্রাসায় রানিং এ আছে।
তিনি এমন এক মানুষ যিনি জীবনের বেশিরভাগ সময় আলেম,ও স্কুল শিক্ষকদের সাথে ব্যায় করেন।
তিনি অনেক মাদ্রাসা ও স্কুল প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সহযোগিতা করেন। আর্দশ দাখিল মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদ সদস্য ও বর্তমানে ইমাম আবু হানিফা হেফজ খানা ও এতিম খানার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
আমার বাবা নিজ প্রতিবেশি ও স্বজনদের সারা জীবন উপকার করে গেছেন, বর্তমানেও চলমান রেখেছেন। অর্থ বা কথা বা সৎ বিচারের পথ ধরে নিজের রক্তের আপনজন ও প্রতিবেশিদের নিয়ে সামাজিকতা রক্ষা করে এখনো তার চলমান সময় গুলো পার করে যাচ্ছেন। অসৎ কিছু লোক আমাদের পরিবারের ক্ষতি করতে চাই বার বার, তবে আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সব কিছু থেকে আমাদের রক্ষা করেছেন প্রতিবার। আল্লাহ পুরা পৃথিবীর মালিক তিনি রাজ্জাক, রহমান,খালিক,
আমাদের মধ্যে বাবার লবনের বোটের জন্য বাকি বিল্লাহ ভাইকে প্রাথমিক পর্যন্ত পড়িয়ে
নিজেদের ব্যবসার কাজে লাগিয়েদেন।যখন মাঝখানে আমাদের পরিবার অর্থনেতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সবাই অনেক কষ্টে দিন পার করি।সবার পড়ার খরচ দিতেন বাবা।তার পরও এক টুকরো জমি বিত্রুি করেনি বাবা। ছেলেদের জন্য কষ্ট করে, পুরাতন কাপড় পরিধান করে, আমাদের জন্য সব রেখে দিলেন, আমার বাবা একজন আর্দশ বাবা,সফল ব্যক্তি যিনি ৭ম শ্রোণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে এতকিছু করেছেন নিজ বুদ্ধি খাটিয়ে।
আমার এই ছোট ভাই বর্ষায় ভিজে, রোধে পুড়ে আমাদের জন্য কত কষ্ট করে পরিবারের ঝড় কাটিয়ে আজ পর্যন্ত সমানতালে ধরে রেখেছেন।
আমার মা কিন্তু একজন সফল উদ্যোক্ত।
যিনি বাবাকে সব সময় সাহস দিতেন,বিপদে জমানো অর্থ দিয়ে বট বৃক্ষের পাশে থেকেছেন সব সময়। ছেলেদের হাত খরচের সব কিছু চালিয়ে যান মা- বাবা।আমার বাবা, আমার পৃথিবী
সবাই আমাদের পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।

কলিম উল্লাহ কলি
কালামারছড়া মহেশখালী